Friday, August 24, 2012

টাকা আদায় করতে যেয়ে বোনের সাথে


বহুদিন বোনের বাড়ী যায়নি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সময় ও পায় না। কলেজ আসলেই অন্য আনন্দের জগৎ। শীতকালের বন্ধ হয়েছে মাত্র দু’দিন হলো। বাড়ীতে শুয়ে-বসে গল্পের বই পড়ে সময় কাটছে। মাকে নানার বাড়ীতে যাবো বলে জানালাম। সেখানেও বহুদিন যাওয়া হয়নি। নানা চাকরী করে, নানীও তার সাথে থাকে। ছোট মামা, ছোট খালা ও তাদের সাথে। তবুও মনে করলাম একবার যায়। ফাকা বাড়ীতে বিধবা এক মামী সম্পর্কীয় থাকে। আর তার বুড়ী মা, আকর্ষন যদিও ঐ মামীর জন্য, কিন্তু কেউ জানে না। জানলে তো কুরবানী হয়ে যাবো।

ছুটির ৪র্থ দিনে গুছিয়ে বাড়ী হতে যখন বের হচ্ছি, তখনই বাধা পেলাম। বড় বোন হাজির। মহা আজব বোন আমার। বয়সে আমার অনেক বড়। প্রায় ১৫ বছরের পার্থক্য। কিন্তু সম্পর্ক স্বাভাবিক। আমার সবচেয়ে প্রিয় আর আপনজন এই বোন। হয়তো একমাত্র ভাই বলেই আমার পরেও তার অস্বাভাবিক টান। ভগ্নিপতিও আমাকে খুব যত্ন করে। অনেক চাহিদা পুরণ করে সে আমার। টাকা-পয়সা, কাপড়-চোপড় চাওয়ার আগেই পেয়ে যায়।

বাধ্য হয়ে বোনের সাথে আবার ঘরে ঢুকলাম। মেজাজ চরম গরম বোঝা যাচ্ছে। মা ছুটে এলেন। বোনের মেজাজকে মাও কিছুটা ভয় পায়। বুঝল, হয়তো জামাইএর সাথে ঝগড়া হয়েছে। কিছুটা ধাতস্ত হওয়ার সময় দিয়ে মা বের হয়ে গেলেন। আমি বোবার মত আপার পাশে বসে রইলাম।

ঘন্টাখানেক পরেই রহস্য উন্মোচিত হল। আমার বোন নোয়াখালীর একজনকে টাকা ধার দিয়েছিলেন, যে প্রায় আজ ১০ বছর তাদের গ্রামে ব্যবসার সূত্রে বউ-বাচ্চা নিয়ে বসবাস করছে। ভাংড়ির দোকান নিয়ে ব্যবসা করত। গরীব বলেই বোন তাকে টাকা ধার দিয়েছিল। কিন্তু গতকাল সে বাশ দিয়ে এলাকা ছেড়ে গোপনে চলে গেছে। এবং যাওয়ার আগে বোনের কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার নিয়েছে। অনেক টাকার মামলা, প্রায় লাখখানেক।

টাকার জন্য বোনজামাই কিছু বলে নি। কিন্তু বোনের এই বোকামির জন্য ভালই গরম দিয়েছে বোঝা যাচ্ছে।

আমার যাওয়া ক্যান্সেল হয়ে গেল। সন্ধ্যায় বাবা ফিরে আসার পর সিদ্ধান্ত হলো। বোন আমাকে নিয়ে নোয়াখালি যাবে। যদিও সবার অমতে। কিন্তু বোনের জেদের কাছে হেরে বাধ্য হয়ে আমাকে রানার হিসাবে রওনা হতে হলো।

এবার একটু বোনের বর্ণনা দেয়। বয়স প্রায় ৩৫ হয়ে গেছে। দেখতে অপরুপ সুন্দরী। দুই সন্তানের মা হিসাবে একটু বেশি মোটা হয়ে গেছে। সম্ভ্রান্ত একটা ভাব সবসময় চেহারায় থাকে। বনেদি পোষাক-আশাকে তাকে সম্মান করতে ই হবে। কাপড় দিয়ে সবসময় আপাদমস্তক ঢেকে রাখে। স্বাস্থের তুলনায় দেহটাও ভরাট। কিন্তু কেউ কখনও তাকে বেসামাল অবস্থায় দেখেনি।

নোয়াখালির দুরত্ত্ব অনেক আমাদের এখান থেকে। তার উপর শীতকাল। রাতে কোচে করে রওনা হলাম দু’জন। এর আগে কোনদিন বোনের সাথে এভাবে বাসে ভ্রমন করেনি। বোনের শরীরের কারণেই হোক, আর যে কারণেই হোক, তার শরীরের সাথে প্রায় আমার শরীর লেগে যাচ্ছিল। ফলে কখন যে নিজের শরীরে উষ্ণতা অনুভব করতে শুরু করেছি, বুঝতে পারে নি। আর সেই উষ্ণতার কারণেই হয়তো ঘুম আসছিল না। বাসে উঠার পর বোন আর কোন কথা বলেনি। সিটে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। বাসের সুপারভাইজার আমাদেরকে কম্বল দিয়েছে। একটা কম্বলে যেন শীত মানাচ্ছে না। কিন্তু কিছু বলতেও ভয় করছে। বোনের ভয় আরকি। ঘন্টাখানেক পরে তন্দ্রা মতো এসেছিল। হঠাৎ বোনের নড়াচড়ায় তন্দ্রা ছুটে গেল। এতক্ষণ পরে ছোট ভাইয়ের প্রতি তার স্নেহ ফিরে এসেছে। দুটো কম্বল সে একত্রে করে আমার গায়ে জড়িয়ে দিল। বাসে লোক কম থাকায়, আর অন্ধকারে কেউ দেখার না থাকলেও আমার লজ্জা বাধা দিচ্ছিল। হঠাৎ যেন মনে হচ্ছিল, আমার বোনের সাথে এক সিটে বসে আছি। কিন্তু বাসের কেউ তো জানে না আমার বোন।

আরো অশ্বস্থিতে পড়লাম, যখন আপা তার হাত আমার গলার নিচ দিয়ে আমাকে তার দিকে টেনে নিলেন। বুঝলাম চাচ্ছেন তার কাধে মাথা রেখে ঘুমাতে। লজ্জায় অশ্বস্তিতে থাকলেও আপার ভয়ে একসময় তার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

হঠাৎ ব্রেকেয় হয়তো আমার ঘুম ভেংগে গেল। কখন যে ঘুমের ঘোরে আপাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না । নিচের হাতকে আবিস্কার করলাম আপার বুকে। নিশ্বাসের তালে তালে যেটা কেপে কেপে উঠছে। আপা গভীর ঘুমে। নড়াচড়া করলাম না। কিন্তু আপার বুকের স্পর্শ আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছিল না।









অপেক্ষায় থাকেন-------------- লেখার সময় পাচ্ছি না।

No comments:

Post a Comment